সাতাশিয়া শরীফুল মরিয়ম উচ্চ বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠার বছর: ১৯৯৪ ইং
EIIN নম্বর: ১০৯৫১৯
অবস্থান: ডাকঘর: ডোমরাকান্দি, উপজেলা: কাশিয়ানী, জেলা: গোপালগঞ্জ
আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে:


SAMIR KRISHNA BALA
গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় প্রতিষ্ঠিত সাতাশিয়া শরীফুল মরিয়ম উচ্চ বিদ্যালয়—একটি আলোকবর্তিকা, যা যুগে যুগে মহান ব্যক্তিদের মেধা, শ্রম, আর্থিক সহায়তা এবং ত্যাগের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে। আমাদের বিশ্বাস, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই প্রতিটি শিশুকে আদর-সোহাগ, রাগ-অনুরাগ ও যত্নসহকারে জ্ঞানের সাগরে ডুবিয়ে দিতে হবে। একজন শিক্ষকের প্রধান দায়িত্ব হলো—শিক্ষার্থীদের শুধু বইয়ের শিক্ষা নয়, বরং নৈতিকতা, আদর্শ, মানবতা এবং দেশপ্রেমের শিক্ষা প্রদান করা। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের আন্তরিক সহযোগিতায় একটি আনন্দঘন ও সৃজনশীল পরিবেশ গড়ে উঠেছে, যেখানে শিল্প, বিদ্যা ও জ্ঞানের আদান-প্রদান প্রতিনিয়ত ঘটছে। আমরা মনে করি—যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত। এ উপলব্ধি থেকে আমাদের লক্ষ্য হলো—প্রত্যন্ত অঞ্চলেও শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়া। একজন আদর্শ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জীবনে আলোর দিশা দেখাতে পারেন। আমি নিজেও সেই আদর্শের ধারক হয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। জানি না কতটা সফল হয়েছি, তবে চেষ্টা করছি—শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিকতা ও আদর্শের বীজ বপন করতে। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন—একইভাবে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার চেয়েও তা রক্ষা ও উন্নত করা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। তাই এই বিদ্যালয়টিকে রাজনীতি, কুটনীতি এবং ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে রেখে আমাদের সকলের সম্মিলিত দায়িত্বে আগামীর পথ দেখাতে হবে। সবশেষে, আমি বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন ও সাফল্য কামনা করছি। শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে আমরা সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করে যাব—এই প্রত্যয়ে বক্তব্য শেষ করছি। তারিখ: ২০/০৪/২০০৮ প্রধান শিক্ষক সাতাশিয়া শরীফুল মরিয়ম উচ্চ বিদ্যালয়
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও লক্ষ্য/উদ্দেশ্য:
যেখানে জ্ঞান সীমিত, সেখানেই অন্ধকার" — এই চেতনা থেকেই প্রতিষ্ঠিত হয় আমাদের বিদ্যালয়টি। সাবেক চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ খলিলুর রহমান এবং প্রথম প্রধান শিক্ষক মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টির ভিত্তি স্থাপিত হয়।বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে গ্রামের বিশিষ্ট তিনজন শিক্ষিত ব্যক্তির সম্মানে—প্রফেসর ড. খন্দকার নাসির উদ্দিনের মাতা মরিয়ম বেগম, বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব মোঃ সবুর আলী খন্দকার এবং মরহুম শরীফুল আলম খন্দকারের সম্মিলিত স্মৃতিকে ধারণ করে।বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন যৌথভাবে প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা সদস্য আলহাজ্ব মোঃ সবুর আলী খন্দকার এবং প্রফেসর ড. খন্দকার নাসির উদ্দিন। তারা জমি ক্রয় থেকে শুরু করে স্কুল ভবনের নির্মাণ ও অন্যান্য যাবতীয় খরচ নিজেরাই বহন করেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি ২০০০ সালে নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে MPOভুক্ত হয় এবং ২০২২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে MPOভুক্তির স্বীকৃতি পায়।তার আগেই, বিদ্যালয়টি ১৯৯৮ সালে নিম্নমাধ্যমিক স্তরে এবং ২০১৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রথম স্বীকৃতি লাভ করে।